চাকসুর নতুন ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বড় জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। দুই শীর্ষ পদ ছাড়া আরও ২২টি পদে জয় পেয়েছেন তারা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

 

চাকসু নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে, এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

 

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চাকসু নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

 

জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪টি ভোট।

 

এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫টি ভোট।

 

গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।

 

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত ৩টার ১৫ মিনিটে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

 

এর আগে, দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

 

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত ১টা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» তিন বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস

» যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি, সর্বনিম্ন শরণার্থী গ্রহণের সীমা ঘোষণা ট্রাম্পের

» পরীক্ষার ফি কমছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

» ৮ও ৯ নভেম্বর নাট্যসঙ্ঘ কানাডার চতুর্থ নাট্যোৎসব

» ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ টাইগারদের

» শীর্ষ ছিনতাইকারী গ্রেফতার

» গুঞ্জন উড়িয়ে ভক্তদের সুখবর দিলেন শাহরুখ খান

» ‘আন্টি’ বলায় ব্লক, আনব্লক করতে জুড়ে দিলেন শর্ত

» শাপলা কলি দিয়ে বুঝিয়েছে এনসিপি বাচ্চাদের দল: সামান্তা শারমিন

» ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরুর নির্দেশে উত্তেজনা বাড়লো

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

চাকসুর নতুন ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে বড় জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। দুই শীর্ষ পদ ছাড়া আরও ২২টি পদে জয় পেয়েছেন তারা। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।

 

চাকসু নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে, এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

 

বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চাকসু নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

 

জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪টি ভোট।

 

এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫টি ভোট।

 

গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।

 

চাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত ৩টার ১৫ মিনিটে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর অধ্যাপক কামাল মুক্ত হন।

 

এর আগে, দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ফলাফল প্রকাশের আগে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

 

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদলের সমর্থনে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আশেপাশে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে থাকলেও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাত ১টা পর্যন্ত তাদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com